আমার ছোট দুনিয়ায় আপনাকে সুস্বাগতম
=================
আশ্চার্য্যজনক হলেও মজার খবর ।
বাংলাদেশের এমন একটি জেলা রয়েছে
যার ভিতর অনেক গুলো জেলার নাম রয়েছে।
ঢাকার পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার কয়েক
জায়গা দেশের বিভিন্ন জেলার
নামে নামকরণ করা যেমন -
মৌলভীবাজার - মনোহরদী থানা ,
ঝালকাঠি - পলাশ থানা ,
শেরপুর - শিবপুর থানা ,
রংপুর - সদর থানা ,
রাংগামাটি - সদর থানা ,
যশোর - শিবপুর থানা ,
লক্ষীপুর - বেলাব থানা।
=================
বেলাব বাজার জামে মসজিদঃ নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলা সদরে অবস্হিত আধুনিক স্হাপত্য কর্ম হিসেবে সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। কেবলমাত্র মুসলিমা জনগোষ্ঠীই নয় অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর পর্যটকগণ এটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এখানে এসে থাকেন।
|
![]() |
|||||||||||
ঐতিহাসিক/দর্শনীয় স্থান সমূহ
![]() জমিদার বাড়ী (বালাপুর) নরসিংদী। বালাপুর জমিদার বাড়িটি পাইকার ইউনিয়নের বালাপুর গ্রামে অবস্থিত। এই জমিদার বাড়িতে অত্র এলাকার জমিদার গন বসবাস করতেন। মজিদার বাড়িটি সুন্দর কারুকার্য মন্ডিত তিন তলা ভবন।
![]() পারুলিয়া দরগাহ্ মসজিদ, পলাশ, নরসিংদী। নরসিংদী সদর থেকে ১০ কিলোমিটারর পশ্চিমে পলাশ উপজেলার পারুলিয়া গ্রামে রয়েছে পারুলিয়া মসজিদ। এ মসজিদটি ১৭১৪ সালে নির্মিত। অর্থাৎ এটি প্রায় তিনশত বছরের প্রাচীন একটি মসজিদ। মসজিদের বারান্দার প্রবেশ দরজার উপরে ফারসি ভাষায় কবিতার ছন্দে লেখা আছে মসজিদটি নির্মাণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট ভারী ও মজবুত পাথরের খিলানের ওপর তৈরি এ পারুলিয়া মসজিদটি এখনো শক্ত সামর্থ্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মসজিদটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরবর্তীতে সংস্কার করা হয়েছে। একটি মাজার, একটি হুজুরখানা, ৪টি পুকুর তার আশপাশের প্রায় ২০ বিঘা জমি নিয়ে পারুলিয়া মসজিদটি অবস্থিত। নরসিংদীর পলাশ উপজেলার পারুলিয়া মসজিদটি স্থাপত্যশৈলীর একটি উৎকৃষ্ট নিদর্শন।
সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে মহেষওয়ার্দী মানে বর্তমান পারুলিয়া গ্রাম অঞ্চলটি স্থানীয় প্রশাসনের কেন্দ্র ছিল। সেখানে একজন নায়েবী দেওয়ান শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। সেই দেওয়ানের নামই শরিফখান। এ মাজারে দেওয়ান শরীফ খান ও তার স্ত্রী জয়নব বিবির কবর রয়েছে। দেওয়ান শরীফ খান এবং জয়নব বিবিই পারুলিয়া মসজিদটি নির্মাণ করেন। ![]() আশ্রাফপুর গায়েভী জামে মসজিদ, শিবপুর, নরসিংদী।
আশ্রাবপুরে নরপতি আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন নসরৎ শাহের রাজত্বকালে নির্মিত অতি প্রাচীন মসজিদ হিসেবে আশ্রাবপুর মসজিদটির বেশ সুনাম রয়েছে। এটি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার আশ্রবপুরে অবস্থিত। ![]() সমৃদ্ধ জমিদারবাড়ী ও শ্রী শ্রী জাগ্রত কালীমন্দির, চিনিশপুর, নরসিংদী। নরসিংদী শহর থেকে ২ কিলোমিটার পশ্চিমে চিনিশপুর কালীবাড়ি। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভেলানগরের উল্টোদিকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলা সদরের পাকা রাস্তা ধরে ১ কিলোমিটার এগুলেই এসে যাবেন কালীবাড়ি। চিনিশপুর কালীবাড়িতে রয়েছে শতবর্ষী বটগাছ। এ কালীবাড়িটিকে ঘিরে অনেক কাহিনী রয়েছে। বলা হয়, স্বয়ং কালীমাতা এই কালীবাড়িতে অবস্থান করছেন। সাধক রামপ্রসাদ আজ থেকে আড়াইশ বছর আগে এই কালীবাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন।
ধারণা করা হয়, এ কালীবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা রামপ্রসাদ নাটোরের রাজা রামকৃষ্ণের বড় ভাই ছিলেন। কালীমায়ের নির্দেশে তিনি পেছনে তাকাতে পারবে না এ শর্তে পথে বের হন। রামপ্রসাদ এ স্থানে এসে শর্তভুলে পেছনে তাকালে দেবী অদৃশ্য হয়ে যান। তবে এ কালীবাড়িটি পরবর্তীতে সংস্কার করে বড় করেছেন রায়পুরার আটকান্দি কুঠিবাড়ির অত্যাচারী নীলকর দেওয়ান রামকৃষ্ণ রায়। ![]() বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান গ্রন্হাগার ও স্মৃতি জাদুঘর, রামনগর, রায়পুরা, নরসিংদী।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরসেনানী বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের জন্মস্হান জেলার রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অনবদ্য ভূমিকাকে স্বীকার করে ও তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখার প্রয়াসে এখানে স্থাপিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান যাদুঘর। ![]() বেলাব বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, বেলাব, নরসিংদী। নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলা সদরে অবস্হিত আধুনিক স্হাপত্য কর্ম হিসেবে সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। কেবলমাত্র মুসলিমা জনগোষ্ঠীই নয় অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর পর্যটকগণ এটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এখানে এসে থাকেন।
![]() ডাংগা জমিদার বাড়ি, পলাশ, নরসিংদী। শত বছরের পুরোনো একটি ইট সুরকি দিয়ে নির্মিত একটি প্রাচীন দালান আজও কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে এই ঐতিহ্যবাহী দালানটি। হতে পারে এটি একটি পর্যটন স্পট। আরো আছে মনোরম দৃশ্য যা দেখার মতো।
![]() কবি শামসুর রহমানের বাড়ি, রায়পুরা, নরসিংদী। রায়পুরা উপজেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান হচ্ছে কবি শামসুর রাহমানের বাড়ি। কবি শামসুর রাহমানের বাড়িটি রায়পুরা উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নে অবস্থিত। পর্যটকদের মন কেড়ে নেয় তাঁর বাড়িটি। প্রতি বছর কবি শামসুর রাহমানের বাড়িটিতে পর্যটকদের ভীড় জমে। তাঁর বাড়িটিতে এখনো কবি শামসুর রাহমানের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। বাড়ির সামনে একটি পুকুর আছে। সেই পুকুরটি নিয়ে ও কবি একটি কবিতা লিখেছিলেন।
![]() শহীদ আসাদের সমাধিস্থল, শিবপুর, নরসিংদী। মুক্তিযুদ্ধ স্মরণ করলেই চলে আসে গণ-অভ্যুত্থানের নায়কের কথা। তিনি আমাদের নরসিংদী শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামের সন্তান শহীদ আসাদুজ্জামান। বাবা মৌলভী আবু তাহের। মাতা মতিজান খাদিজা খাতুন। বাবা ছিলেন এলাকার ঋদ্ধ শিক্ষক ও ধর্মীয় নেতা। আসাদ ১৯৬০ সালে শিবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্টিক, ১৯৬৩ সালে এম, সি কলেজ, সিলেট থেকে আই এ পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৬৬ সালে সি টি ল কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ভাসানী ন্যাপ ও কৃষক আন্দোলনের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তিনি ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা হলের ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ) শাখার সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৯ সালের জানুয়ারিতে সরকার বিরোধী আন্দোলনের বেগবানের ধারাবাহিকতায় ২০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে একছাত্র সভায় সরকার ১৪৪ ধারা জারি করলে ছাত্র সমাজ তা ভঙ্গ করে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়- মিছিলের একাংশের অগ্রভাগে ছিলেন আসাদ। মিছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের পূর্ব দিকের ফটকের সামনে এল পিস্তলের গুলিতে আসাদ শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর স্মৃতিতে জনতা স্বত:স্ফূর্তভাবে আইয়ুব গেইট, আসাদ গেইট ও আইয়ুব এভিনিউ আসাদ এভিনিউতে পারণত করে। আসাদ তাঁর নিজ গ্রাম ধানুয়ায় সমাহিত আছেন।
![]() কুমরাদি দরগা, শিবপুর, নরসিংদী।
![]() আলগী তারানী ভূইয়া বাড়ী, নরসিংদী সদর, নরসিংদী। ![]() সাধারচর এর প্রাচীন নিদর্শন, শিবপুর, নরসিংদী।
|
|
|||||||||||
![]() |