বিসমিল্লাহীর রাহমানির রাহীম, আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি। আজকের আকাশে একটাই তাঁরা নিজের উপস্থিতিকে জানান দিচ্ছে। ভালো করে খেয়াল করলে আশেপাশে আরও অনেক তাঁরা দেখা যাবে। কিন্তু সেগুলো তত উজ্জ্বল নয় যার কারণে সহজে চোখে পড়ে না। সবার দোয়ায় নিজের একটা ওয়েবসাইট করলাম। সবাইকে এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আশা করি সবাই আমাদের সাথেই থাকবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।

আমার ছোট দুনিয়ায় আপনাকে সুস্বাগতম ================= আশ্চার্য্যজনক হলেও মজার খবর । বাংলাদেশের এমন একটি জেলা রয়েছে যার ভিতর অনেক গুলো জেলার নাম রয়েছে। ঢাকার পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার কয়েক জায়গা দেশের বিভিন্ন জেলার নামে নামকরণ করা যেমন - মৌলভীবাজার - মনোহরদী থানা , ঝালকাঠি - পলাশ থানা , শেরপুর - শিবপুর থানা , রংপুর - সদর থানা , রাংগামাটি - সদর থানা , যশোর - শিবপুর থানা , লক্ষীপুর - বেলাব থানা। ================= বেলাব বাজার জামে মসজিদঃ নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলা সদরে অবস্হিত আধুনিক স্হাপত্য কর্ম হিসেবে সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। কেবলমাত্র মুসলিমা জনগোষ্ঠীই নয় অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর পর্যটকগণ এটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এখানে এসে থাকেন।
 


শামসুর রাহমান

শামসুর রাহমান (জন্ম: অক্টোবর ২৩, ১৯২৯, মাহুতটুলি, ঢাকা - মৃত্যু: আগস্ট ১৭, ২০০৬ ) বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ভাগে দুই বাংলায় তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠিত। তিনি একজন নাগরিক কবি ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর লিখিত তাঁর দুটি কবিতা খুবই জনপ্রিয়।

জন্ম, শৈশব ও শিক্ষা

জন্ম নানাবাড়িতে। বাবা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী ও মা আমেনা বেগম। পিতার বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরায় পাড়াতলী গ্রামে। কবি শামসুর রাহমানের ভাই-বোনের সংখ্যা ১৩ জন। কবি ৪র্থ। পুরোনো ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন ১৯৪৫ সালে। ১৯৪৭ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আই এ পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে ভর্তি হন এবং তিন বছর নিয়মিত ক্লাসও করেছিলেন সেখানে। শেষ পর্যন্ত আর মূল পরীক্ষা দেননি। পাসকোর্সে বিএ পাশ করে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এম এ (প্রিলিমিনারী) পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেও শেষ পর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি।[১]

পেশা

শামসুর রাহমান পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। সাংবাদিক হিসেবে ১৯৫৭ সালে কর্মজীবন শুরু করেন দৈনিক মর্ণিং নিউজ-এ। ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত রেডিও পাকিস্তানের অনুষ্ঠান প্রযোজক ছিলেন। এরপর তিনি আবার ফিরে আসেন তার পুরানো কর্মস্থল দৈনিক মর্ণিং নিউজ-এ। তিনি সেখানে ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১] নভেম্বর, ১৯৬৪ থেকে শুরু করে সরকারি দৈনিক দৈনিক পাকিস্তান এর সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৭ এর জানুয়ারি পর্যন্ত (স্বাধীনতা উত্তর দৈনিক বাংলা)। ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি দৈনিক বাংলাসাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ তে সামরিক সরকারের শাসনামলে তাকেঁ পদত্যাগ বাধ্য করা হয়।[২] অতঃপর তিনি অধুনা নামীয় মাসিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাহিত্যধারা

বিংশ শতকের তিরিশের দশকের পাঁচ মহান কবির পর তিনিই আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান পুরুষ হিসেবে প্রসিদ্ধ। কেবল বাংলাদেশের কবি আল মাহমুদ এবং পশ্চিমবঙ্গের কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় বিংশ শতকের শেষার্ধে তুলনীয় কাব্যপ্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন বলে ধাণা করা হয়। আধুনিক কবিতার সাথে পরিচয় ও আন্তর্জাতিক-আধুনিক চেতনার উন্মেষ ঘটে ১৯৪৯-এ, এবং তার প্রথম প্রকাশিত কবিতা ১৯৪৯ মুদ্রিত হয় সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকায়। শামসুর রাহমান বিভিন্ন পত্রিকায় সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় লিখতে গিয়ে নানা ছন্দনাম নিয়েছেন তিনি যেগুলো হচ্ছে: সিন্দবাদ, চক্ষুষ্মান, লিপিকার, নেপথ্যে, জনান্তিকে, মৈনাক। পাকিস্তান সরকারের আমলে কলকাতার একটি সাহিত্য পত্রিকায় মজলুম আদিব (বিপন্ন লেখক) নামে কবিতা ছাপা হয় যা দিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সমালোচক আবু সায়ীদ আইয়ুব[৩]

ব্যক্তিগত জীবন

১৯৫৫ সালের ৮ই জুলাই শামসুর রাহমান জোহরা বেগমকে বিয়ে করেন। কবির তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। তাদের নাম সুমায়রা আমিন, ফাইয়াজ রাহমান, ফাওজিয়া সাবেরিন, ওয়াহিদুর রাহমান মতিন ও শেবা রাহমান।

প্রতিবাদী কবি

শামসুর রাহমান স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে বিদ্রুপ করে ১৯৫৮ সালে সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল (পত্রিকা) পত্রিকায় লেখেন 'হাতির শুঁড়' নামক কবিতা। বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান যখন কারাগারে তখন তাঁকে উদ্দেশ্য করে লেখেন অসাধারণ কবিতা 'টেলেমেকাস' (১৯৬৬ বা ১৯৬৭ সালে)। ১৯৬৭ সালের ২২ জুন পাকিস্তানের তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী রেডিও পাকিস্তানে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্প্রচার নিষিদ্ধ করলে শামসুর রাহমান তখন সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা দৈনিক পাকিস্তান-এ কর্মরত থাকা অবস্থায় পেশাগত অনিশ্চয়তার তোয়াক্কা না করে রবীন্দ্রসঙ্গীতের পক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন যাতে আরো স্বাক্ষর করেছিলেন হাসান হাফিজুর রহমান, আহমেদ হুমায়ুন, ফজল শাহাবুদ্দীন। ১৯৬৮ সালের দিকে পাকিস্তানের সব ভাষার জন্য অভিন্ন রোমান হরফ চালু করার প্রস্তাব করেন আইয়ুব খান যার প্রতিবাদে আগস্টে ৪১ জন কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন যাদের একজন ছিলেন শামসুর রাহমানও। কবি ক্ষুদ্ধ হয়ে লেখেন মর্মস্পর্শী কবিতা 'বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা'। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি গুলিস্তানে একটি মিছিলের সামনে একটি লাঠিতে শহীদ আসাদের রক্তাক্ত শার্ট দিয়ে বানানো পতাকা দেখে মানসিকভাবে মারাত্মক আলোড়িত হন শামসুর রাহমান এবং তিনি লিখেন 'আসাদের শার্ট' কবিতাটি। ১৯৭০ সালের ২৮ নভেম্বর ঘূর্ণিদুর্গত দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় ও মৃত্যুতে কাতর কবি লেখেন 'আসুন আমরা আজ ও একজন জেলে' নামক কবিতা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবার নিয়ে চলে যান নরসিংদীর পাড়াতলী গ্রামে। এপ্রিলের প্রথম দিকে তিনি লেখেন যুদ্ধের ধ্বংসলীলায় আক্রান্ত ও বেদনামথিত কবিতা 'স্বাধীনতা তুমি' ও 'তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা'।[৩] শামসুর রাহমান ১৯৮৭ সালে এরশাদের স্বৈরশাসনের প্রতিবাদে দৈনিক বাংলার প্রধান সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৮৭ থেকে পরবর্তী চার বছরের তিনি প্রথম বছরে 'শৃঙ্খল মুক্তির কবিতা', দ্বিতীয় বছরে 'স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কবিতা', তৃতীয় বছরে 'সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কবিতা' এবং চতুর্থ বছরে 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কবিতা' লেখেন। ১৯৯১ সালে এরশাদের পতনের পর লেখেন 'গণতন্ত্রের পক্ষে কবিতা'। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও জনমানুষের প্রতি অপরিসীম দরদ তাঁর চেতনায় প্রবাহিত ছিল। শামসুর রাহমানের বিরুদ্ধে বারবার বিতর্ক তুলেছে কূপমণ্ডুক মৌলবাদীরা। তাঁকে হত্যার জন্য বাসায় হামলা করেছে। এতকিছুর পরও কবি তাঁর বিশ্বাসের জায়াগায় ছিলেন অনড়।[৩]

মৃত্যু

কবি শামসুর রাহমান ২০০৬ সালের ১৭ই আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৩৫ মিনিটে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর ইচ্ছানুযায়ী ঢাকাস্থ বনানী কবরস্থানে, নিজ মায়ের কবরের পাশে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।

প্রকাশিত গ্রন্থ

শামসুর রাহমানের প্রকাশিত গ্রন্থের পূর্ণ তলিকার জন্য দেখুন শামসুর রাহমানের গ্রন্থাবলি

শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্য গ্রন্থ প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে প্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালে

প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা[৪]

  • কাব্যগ্রন্থ - ৬৬
  • উপন্যাস - ৪
  • প্রবন্ধগ্রন্থ - ১
  • ছড়ার বই - ১।এলাটিং বেলাটিং, ৮
  • অনুবাদ - ৬

সম্মাননা ও পুরস্কার

ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।


আমাকে লাইক করুন
===============
শাহ ইরানি মাজারঃ বেলাব উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নে অবস্থিত। হযরত শাহ ইরানী এর মাজার শরীফ। দূর-দূরান্ত থেকে অনেক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিবর্গ এখানে উপাসনা করতে আসেন। পর্যটকদের জন্যও এটি লোভনীয় স্থান।

দেওয়ান শরীফ মসজিদঃ নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় অবস্থিত। ১৭১৬ সালে স্থাপিত পাঠান স্থাপত্যের নিদর্শন। দেওয়ান ঈশা খাঁ’র পরবর্তী বংশধর দেওয়ান শরীফ খাঁ এটি নির্মাণ করেন।
লাইক করার জন্য ধন্যবাদ
==================
ওয়ারী বটেশ্বরঃ নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার অমলাব ইউনিয়নে অবস্থিত। অসম রাজার গড় নামে এটি সমাধিক পরিচিত। প্রত্নতত্ত্ববিদ ও গবেষকগণ ধারণা করেন যে এটি প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন। এখানে প্রাচীন শিলালিপি, মূদ্রাসহ অনেক প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্বাবধানে এখনো খনন কাজ চলছে। এখানে পর্যটকদের জন্য রেষ্ট হাউস করা হচ্ছে।
আপনার অনুভূতি জানান
==================
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান যাদুঘরঃ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরসেনানী বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের জন্মস্হান জেলার রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অনবদ্য ভূমিকাকে স্বীকার করে ও তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখার প্রয়াসে এখানে স্থাপিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান যাদুঘর।
ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ
===================
সোনাইমুড়ি টেকঃ লালমাটির পাহাড়ী টিলা সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সোনাইমুড়ি টেক অন্যতম দর্শণীয় স্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের পাশে জেলার শিবপুর উপজেলায় অবস্থিত। শীতকালে বনভোজনের ধুম পড়ে যায় স্থানটিতে।
ফেসবুকে আমাকে লাইক দিন
=====================
আশ্রাবপুর মসজিদঃ আশ্রাবপুরে নরপতি আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নাসির উদ্দিন নসরৎ শাহের রাজত্বকালে নির্মিত অতি প্রাচীন মসজিদ হিসেবে আশ্রাবপুর মসজিদটির বেশ সুনাম রয়েছে। এটি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার আশ্রবপুরে অবস্থিত।
 
Today, there have been 46422 visitors (70926 hits) on this page!
Copyright © 2013-2015 http://narsingdirpola.page.tl. All Rights Reserved. E-mail: narsingdirpola@ymail.com Cell : +8801722663933 Developed By: e-solution
This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free